মহসীন শেখ

পবিত্র ওমারাহ্ হজ্জ পালন করতে গিয়ে আল্লাহ্তাআলার সৃষ্টির বিভিন্ন নিদর্শণ দেখার সুযোগ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। দীর্ঘসময় ধরে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন লোকেমূখে শুনে আসা আবরে অবস্থিত ইসলামের নিদর্শণসমূহ দেখেছি। যা আরবে না গিয়ে নিজের অবস্থান থেকে ইতিহাসেই সীমাবদ্ধ থেকে এবং বিভিন্নভাবে শুনে কখনই অনুভব করা যাবেনা জীবন্ত ইসলামকে। রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় সৌদিআরবে পবিত্র স্থানগুলো দেখার সুযোগ পেয়েছি। আল্লাহ্পাক রাব্বুল আলামীনের কাছে লাখো কৌটি শুকরিয়া আদায় করছি।

গত ২মে সৌদিআরবে দীর্ঘ ৬৫বছর ধরে বসবাসকারী আমার কয়েকজন নিকাটাতœীয় আমার স্ত্রী সহ আমাকে দেখতে নিয়ে যান জাবলে রহমত ও আরফাতের ময়দান। দিনটির দীর্ঘসময় আমরা দেখেছি জবলে রহমত এবং আরফাতের ময়দান আর পাহাড়। সেখানে বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা লাখ লাখ নারী পুরুষের সমাগম। সকলেই বিভিন্নভাবে ইবাদত করছেন। দেখছেন সেখানকার বিভিন্ন দৃশ্য।

জবল আরবী শব্দ, এর বাংলা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পাহাড়। জবলে রহমত অর্থ রহমতের পাহাড়। আল্লাহ বেহেসত থেকে বের করে দেওয়ার পর সৃষ্টির প্রথম মানব বাবা আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ) হযরত হাওয়া(আ.) জবলে রহমতের পাহাড়ে দীর্ঘ ৪০০ বছর পর এ পাহাড়ে মিলিত হন। এ পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে বিদায়ী ভাষণ দেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

আরাফাতের পাহাড় (আরবি: جبل عرفات‎) সৌদি আরবের মক্কার পূর্ব দিকে আরাফাতে অবস্থিত একটি পাহাড়। একে জাবালে রহমত (রহমতের পাহাড়) বলেও উল্লেখ করা হয়। রাসূল মুহাম্মদ (সা.) এখানে দাঁড়িয়ে হজযাত্রীদের সামনে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পাহাড়টি গ্রানাইটে গঠিত এবং উচ্চতা প্রায় ৭০ মি।

ইসলাম ধর্মের পুণ্যভূমি সৌদি আরব। সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৪০০ বছর কান্নার পর আল্লাহ তাঁদের দোয়া কবুল করেন। পুনরায় আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) মধ্যে দেখা হয়। যে জায়গাটিতে তাদের দখা হয় সেটির নাম হচ্ছে জাবালে রহমত নামক পাহাড়ের পাদদেশে। যা কিনা মুজদালিফা। আরাফাত ও মিনার মাঝখানে অবস্থিত। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩৭৪ কিলোমিটার। এখানেই বিশ্বের সমসতদ হাজ্বীরা হজ্ব করতে এসে মিলিত হয়। এখানে রাত্রি যাপন করেন। মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করা ওয়াজিব। মুজদালিফা, আরাফাত ও মিনার মাঝখানে অবস্থিত জাবালে রহমত নামক পাহাড়টিকে দোয়া কবুল হওয়ার পাহাড়ও বলা হয়। এই পাহাড়ের কথা পবিত্র কোরআনেও আছে। জাবালে রহমতের দক্ষিণ পাশেই আরাফাতের ময়দান। যেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্ব মুসলিমের সামনে বিদায় হজ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন। যা ইতিহাস হিসেবে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। সারা বিশ্ব মুসলিমের জন্য পথ প্রদর্শক। রাসূলের উম্মত হিসেবে আমাদের করণীয় কি সেই কথাগুলো তিনি বলেছেন। ৯ জিলহজ্ব আরাফাত ময়দানে হাজ্বীরা ফজর থেকে কোরবানির দিনের ফজর পর্যনতদ সেখানে অবস্থান নেন। মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। আর মিনার দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার। অনেক হাজ্বী জাবালে রহমতে উঠতে গিয়ে আহত হন আবার কেউ মারাও যান। কেননা পাহাড়টি অনেক বড়। সবাই বাবা আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ)-এর মিলন মেলা যেই পাহাড়ে হয়েছিলো সেখানে না গিয়ে থাকতে পারেন না। মহান আল্লাহর রহমতে সব কিছু হয়ে থাকে তার প্রমাণ ইসলামের এই স্থানগুলো। যেই জায়গাগুলো জড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব মুসলমানের জন্য রহমত। তাইতো মহান আল্লাহ তা নাম দিয়েছেন জাবালে রহমত। যা ইতিহাস হিসেবে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। সারা বিশ্ব মুসলিমের জন্য পথ প্রদর্শক। রাসূলের উম্মত হিসেবে আমাদের করণীয় কি সেই কথাগুলো তিনি বলেছেন। ৯ জিলহজ্ব আরাফাত ময়দানে হাজ্বীরা ফজর থেকে কোরবানির দিনের ফজর পর্যনতদ সেখানে অবস্থান নেন। মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। আর মিনার দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার। অনেক হাজ্বী জাবালে রহমতে উঠতে গিয়ে আহত হন আবার কেউ মারাও যান। কেননা পাহাড়টি অনেক বড়। সবাই বাবা আদম (আঃ) ও মা হাওয়া (আঃ)-এর মিলন মেলা যেই পাহাড়ে হয়েছিলো সেখানে না গিয়ে থাকতে পারেন না। মহান আল্লাহর রহমতে সব কিছু হয়ে থাকে তার প্রমাণ ইসলামের এই স্থানগুলো। যেই জায়গাগুলো জড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব মুসলমানের জন্য রহমত। তাইতো মহান আল্লাহ তা নাম দিয়েছেন জাবালে রহমত।

আরাফার ময়দানের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত মসজিদে নামিরা। বিদায় হজের সময় আরাফার দিনে যেখানে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজের ইমামতি করেছিলেন এবং খুতবা দিয়েছিলেন সেখানেই হিজরী দ্বিতীয় শতকে নামিরা মসজিদটি নির্মিত হয়। মসজিদের বর্তমান নান্দনিক রূপটি গ্রহণ করেছে সাম্প্রতিককালের সৌদি শাসনামলে। মসজিদটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মসজিদের কিবলাহমুখি সামনের অংশ আরাফার ময়দানের বাইরে পড়েছে এবং এর পিছনের অংশ আরাফার মধ্যেই রয়েছে। মসজিদটির আয়তন ১,১০০০০ বর্গমিটার। এখানে একত্রে ৩,৫০,০০০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে রয়েছে ৬০ মিটার উঁচু ৬টি মিনার, তিনটি গম্বুজ ও ১০টি প্রধান দরজা। সুবৃহৎ এ মসজিদটির কাছে রয়েছে জাবালের রহমত হাসপাতাল। ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, এই মসজিদের স্থানেই ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.) হজরত ইবরাহিম (আ.) কে হজের নিয়মকানুন শিক্ষা দিয়েছিলেন।

আমি মুসলমান ভাই-বোনদের বলবো আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, মালোশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ না করে খোদার রহমত পেতে সৌদি আরবের এই স্থানগুলো ভ্রমণ করুন। হজ্ব করুন। আল্লাহ সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন। আমীন।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সকালের কক্সবাজার। মোবাইল:- ০১৬১৯০৭০৫১৩